দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনি ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের দিকে এগুচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে পরবর্তীতে দিক পাল্টে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি গতিপথ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত যেটা বোঝা যাচ্ছে, ঝড়টি প্রথমে উড়িষ্যার দিকে যাবে। এরপর পথ পরিবর্তন করে আমাদের দিকে আসবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ১৩ বা ১৪ মে আমাদের এদিকে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করবে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে বেশি প্রভাব পড়বে, ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আছে কি না সেটা আরও পরে বলা যাবে।
আবহাওয়ার ৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল ‘অশনি’।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসে একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ আছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণে নিরুৎসাহিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।