You are here
Home > খেলাধুলা > লিডসকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল, বার্নলির কাছে টটেনহ্যাম পরাজিত

লিডসকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল, বার্নলির কাছে টটেনহ্যাম পরাজিত

প্রিমিয়ার লিগে লিডসকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল। এর মাধ্যমে টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সথে পার্থক্যটা ৩ পয়েন্টে কমিয়ে এনেছে জার্গেন ক্লপের দল। এদিকে দিনের আরেক ম্যাচে রেলিগেশনে থাকা বার্ণলির কাছে ১-০ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ করেছে টটেনহ্যাম। এই পরাজয়ে স্পার্স বস এন্টোনিও কন্টের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা আরো বাড়লো।
লিভারপুল বস ক্লপ বিশ্বাস করেন মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলো জয়ের মাধ্যমে সিটির সাথে শিরোপা লড়াইয়ে তার দলও দারুনভাবে এগিয়ে যাবে। লিভারপুলের সাম্প্রতিক ফর্শ বিবেচনায় এই বিশ্বাস একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। এ্যানফিল্ডে কাল সবদিক থেকেই লিডসের উপর পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে রেডরা। ৩০ মিনিটে জোয়েল মাটিপের গোলের আগে ও পরে দুটি স্পট কিক থেকে মোহাম্মদ সালাহ দুই গোল করেন। বিরতির পর সাদিও মানের দুই গোলের সাথে ইনজুরি টাইমে ভার্জিল ফন ডাইকের গোলে লিভারপুলের বড় জয় নিশ্চিত হয়। 
এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত ৯টি ম্যাচের সবকটিতেই জয়ী হলো লিভারপুল। বিশেষ করে এই মুহূর্তে সিটির সাথে ব্যবধান কমাতে হলে এই ধরনের উজ্জীবিত জয় খুব জরুরী। অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে লিভারপুলের থেকে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল সিটিজেনরা। কিন্তু কয়েকটি ম্যাচে সিটির  হোঁচট খাওয়ার  সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে লিভারপুল হোম ও এ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে একের পর এক সাফল্য তুলে নিয়েছে। মৌসুম শেষ হতে উভয় দলের সামনে আর মাত্র ১২টি ম্যাচ বাকি আছে। গত পাঁচ মৌসুমে সিটি চতুর্থ শিরোপা ও লিভারপুল শেষ তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। 
কাল ম্যাচ শেষে ক্লপ বলেছেন, ‘সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত এই তিন পয়েন্ট ধরে রাখা যাবে। এরপর হয়ত সিটি জিতবে এবং তখন আবারো ব্যবধান ছয় পয়েন্ট হবে। আমরা যদি বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ী হতে পারি তবে আমাদের সামনে শিরোপা জয়ের দারুন সুযোগ রয়েছে।’
রোববার ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন চেলসির বিপক্ষে লিগ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে লিভারপুল। এই শিরোপা জয় করাটা ক্লপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারনেই আগের ম্যাচে নরউইচের বিপক্ষের স্কোয়াড থেকে পাঁচটি পরিবর্তন করে ক্লপ ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড ও এন্ডি রবার্টসনকে মূল দলে ডেকেছিলেন। ১৫ মিনিটে লিভারপুলের এগিয়ে যাবার পিছনে রবার্টসনের অবদান ছিল। লিডসের ডিফেন্ডার স্টুয়ার্ট ডালাস ডি বক্সের ভিতর রবার্টসনের ক্রস হাত দিয়ে আটকালে পেনাল্টি উপহার পায় লিভারপুল। স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন মিশরীয় তারকা সালাহ। মৌসুমে এটি তার ২৬তম গোল। ৩০ মিনিটে ক্যামেরুন ডিফেন্ডার মাটিপ অনেকটা পিছন থেকে সালাহর সাথে বল আদান প্রদান করে দারুন ফিনিশিংয়ে লিডস গোলরক্ষক ইলান মেসলিয়ারকে পরাস্ত করেন। ডিসেম্বরের পর এটাই মাটিপের প্রথম গোল। পাঁচ মিনিট পর লুক আয়লিং মানেকে ফাউলের অপরাধে আবারো লিভারপুলকে পেনাল্টি উপহার দেন। নিজের দ্বিতীয় গোলে এবার সালাহ ব্যবধান ৩-০’তে নিয়ে যান। ৮০ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের পাস থেকে মানে গোল করতে কোন ভুল করেননি। স্টপেজ টাইমে আবারো পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে জড়ান এই সেনেগালিজ তারকা। ইনজুরির টাইমের তৃতীয় মিনিটে ডাইক মৌসুমে লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয় উপহার দেন। এনিয়ে শেষ ১০টি লিগ ম্যাচের সাতটিতেই পরাজিত হলো লিডস। রেলিগেশন জোন থেকে তারা মাত্র তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছে।
এদিকে টার্ফ মুরে বৃষ্টি¯œাত দিনে টটেনহ্যামের হতাশাজনক পারফরমেন্স সমর্থকরা মোটেই ভালভাবে নেয়নি। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাত্র একদিন আগে ৩-২ গোলের দুর্দান্ত এক জয়ে স্পার্সরা যতটা এগিয়ে গিয়েছিল কাল তলানির দল বার্নলির বিপক্ষে পরাজিত হয়ে তার থেকে কয়েকগুন পিছিয়ে গেছে। ৭১ মিনিটে জোস ব্রাউনহিলের ফ্রি-কিক থেকে বেন মির হেড রুখতে পারেননি হুগো লোরিস। এই পরাজয় সত্তেও টটেনহ্যাম টেবিলের অষ্টম স্থানেই রয়েছে। শীর্ষ চারের অবস্থান থেকে তারা সাত পয়েন্ট পিছিয়ে গেছে। একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নও ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। কন্টে বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি করতে আমরা এখানে এসেছিলাম। কিন্তু হয়তবা এবার আমাদের  ভাগ্য সহায় ছিলনা। এখন সামনের পরিস্থিতির দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। যেকোন সিদ্ধান্তের জন্য আমার দরজা খোলা আছে। কারন আমি টটেনহ্যামকে সহযোগিতা করতে চাই।’
তলানির থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা বার্নলির এটি টানা দ্বিতীয় জয়। এক ম্যাচে হাতে রেখে বার্নলি এখন নিরাপদ  জোন থেকে আর মাত্র দুই পয়েন্ট দুরে রয়েছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top