ওপেনার লিটন দাসের হাফ-সেঞ্চুরির পরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ১৯২ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। লিটন ৮৬ রান করেন।
আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এ ম্যাচেও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আগের দুই ম্যাচের ন্যায় আজও আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার ফজল হক ফারুকির বলে আউট হন তামিম। ২৫ বলে ১টি চারে ১১ রান করেন তামিম।
ওপেনিংয়ে সতীর্থ লিটনের সাথে ১০ দশমিক ১ ওভারে চলতি সিরিজে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন তামিম।
অধিনায়কের বিদায়ে উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। লিটনের সাথে তাল মিলিয়ে রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন তিনি। ২০তম ওভারে নিজের ৫০তম ওয়ানডেতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি পেতে ৬৩ বল খেলেছেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা লিটন।
পরের ওভারে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন-সাকিব। আর পরের ওভারে লিটন-সাকিব জুটি ভাঙ্গেন আফগানিস্তানের ডান-হাতি পেসার আজমতুল্লাহ ওমারজাই। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সাকিবকে বোল্ড করেন ওমারজাই। ৩টি চারে ৩৬ বলে ৩০ রান করে ফিরেন উইকেটে সেট ব্যাটার সাকিব। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ বলে ৬১ রান যোগ করেন লিটন-সাকিব।
সাকিবের উইকেট পতনে, বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ৪ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশের দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলিকে শিকার করেন আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খান। উইকেটের পেছনে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দেন ১৫ বলে ৭ রান করা মুশফিক। আর রশিদের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে স্লিপে গুলবাদিন নাইবকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ৪ বলে ১ রান করা ইয়াসির।
ইয়াসিরকে আউট হরে ৮০তম ওয়ানডেতে ১৫০তম শিকার পূর্ণ করেন রশিদ। দ্রুত ১৫০ উইকেট শিকারের তালিকায় তৃতীয়স্থানে জায়গা করে নেন রশিদ। ওয়ানডেতে দ্রুত ১৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের। ৭৭ ম্যাচে ১৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন স্টার্ক।
মুশফিক-ইয়াসিরের আউটের মাঝে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন লিটন। আরও একটি সেঞ্চুরির স্বপ্নও বুনে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩৬তম ওভারে মোহাম্মদ নবির বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন লিটন। লং অন থেকে দে(ৗড়ে দারুন ক্যাচ নেন নাইব। ফলে ১১৩ বলে ৭টি চারে গড়া ৮৬ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে লিটনের।
দলীয় ১৫৩ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন লিটন। এরপর আফগানিস্তানের বোলারদের দৃঢ়তায় ও নিজেদের ভুলে বাকী ৫ উইকেট ৩৯ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪৬ দশমিক ৫ ওভারে ১৯২ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।
অফ-স্টাম্পের বল পুল করতে গিয়ে মিড-অনে মুজিব উর রহমানকে ক্যাচ দেন প্রথম ম্যাচের হিরো আফিফ হোসেন। ৬ বলে ১টি চারে ৫ রান করেন তিনি। মাহমুদুল্লাহর সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন প্রথম ম্যাচের সেরা মেহেদি হাসান মিরাজ। ১২ বলে ৬ রান করেন তিনি।
আর লোয়ার-অর্ডারে পেসার তাসকিন আহমেদকে খালি হাতে বিদায় দেন রশিদ। লেগ বিফোর হন তাসকিন। আর শেষ দুই ব্যাটার শরিফুল ইসলাম ৭ ও মুস্তাফিজুর রহমান ১ রান করে রান আউট হন। অন্যপ্রান্তে দলের সতীর্থদের যাওয়া আসা দেখেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ পর্য়ন্ত ৫৩ বলে কোন বাউন্ডারি ছাড়া ২৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি।
আফগানিস্তানের রশিদ ৩৭ রানে ৩টি ও নবি ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন।