দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে বিধ্বস্ত কলম্বিয়াকে আরো পিছনে ঠেলে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার লটারো মার্টিনেজের একমাত্র গোলে লিওনেল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে পরাজিত করেছে। এই জয়ে আর্জেন্টিনার জয়ের ধারা ২৯ ম্যাচে উন্নীত হলো।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মার্টিনেজ। পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডারদের ভুলে মার্টিনেজ গোলের সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান।
দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্ব থেকে শীর্ষ চারটি দল সরাসরি কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পাবে। আর পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি এশিয়ান কনফেডারেশনের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্লে-অফ ম্যাচের লড়াইয়ে মাঠে নামবে। ১০ দলের লড়াইয়ে টেবিলের শীর্ষ দুই দল হিসেবে ইতোমধ্যেই কাতার বিশ্বকাপের টিকিট কেটে ফেলেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ইকুয়েডরের বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র।
এদিকে এই পরাজয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে কলম্বিয়া টেবিলের সপ্তম স্থানে নেমে গেছে। উরুগুয়ের থেকে পাঁচ, চিলির থেকে দুই ও পেরুর থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে রেইনাল্ডো রুয়েডার দল।
শেষ চারটি হোম ম্যাচের একটিতেও গোল হজম করেনি আর্জেন্টিনা। অপরদিকে বাছাইপর্বের শেষ ৬টি ম্যাচের একটিতেও গোল করতে পারেনি কলম্বিয়া। এই পরিসংখ্যান সামনে রেখে কাল দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল।
আর্জেন্টাইন তারকা উইঙ্গার এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া বলেছেন, ‘মাঠে যেই খেলুক না কেন খুব একটা পরিবর্তন হয়না। আমরা সেই একই দল থাকি, একই মানসিকতা আমাদের সকলের মধ্যে থাকে। সবসময়ই আমরা মাঠে ত্যাগ ও ন¤্রতা দেখিয়েছি। আজ ম্যাচের আগেই আমরা জানতাম একটি কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের ওপর আস্থা ছিল এবং এভাবেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবার রসদ পাই।’
কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও বিশ্রামে থাকার কারনে দলে ছিলেন না মেসি। এছাড়া ইনজুরির কারনে অনুপস্থিত ছিলেন মিডফিল্ডার রডরিগো ডি পল। কিন্তু এই সুযোগে আক্রমনভাগে দারুনভাবে সামলে নিয়েছেন মার্টিনেজ ও ডি মারিয়া।
গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ‘অনেকেই যারা অনুপস্থিত তাদের নিয়ে অনেক কথা বলেছে। তাদের অবর্তমানে আমাদের শক্তি কিছুটা হলেও খর্ব হয়েছে, এমন কথাও শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমরা মাঠেই প্রমান দিয়েছি আমরা শুধুমাত্র ১১ জনের দল নই, পুরো স্কোয়াডই আমাদের শক্তিশালী।’
পুরো ম্যাচেই লম্বা শ্যুটিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন ডি মারিয়া। যে কারনে কলম্বিয়ার দ্বিতীয় গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাসকে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে লুইস দিয়াজের একটি শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার না হলে তখনই হয়তো ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারতো কলম্বিয়া।