বাঁ-হাতি ব্যাটার রিলি রোসৌর ব্যাটিং ঝড়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরালো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতরাতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৮ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। ব্রিস্টলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪১ রানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। ৫৫ বলে ৯৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন রোসৌ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩৪ রান করেছিলো ইংল্যান্ড। তবে কার্ডিফে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নেমে মারমুখী মেজাজেই শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিক্স। উদ্বোধনী জুটি ২৩ বলে ৩৯ রান তুলে। ১১ বলে ১৫ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফিরেন ডি কক।
দ্বিতীয় উইকেটে হেনড্রিক্সের সাথে জুটি বাঁধেন রোসৗ। দ্রুত গতিতে রানের চাকা সচল রাখেন তারা। ফলে ১০ ওভারেই ১’শ রান পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান হেনড্রিক্স। ২৯ বলে অর্ধশতক করেন তিনি। ঐ ওভারের শেষ বলে হেনড্রিক্সের ক্যাচ ফেলে ইংল্যান্ড। তবে জীবন পেয়ে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তিনি। পরের ওভারে রিচার্ড গ্লেসনের বলে বিদায় ঘটে হেনড্রিক্সের। ৩২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে রোসৌর সাথে ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন হেনড্রিক্স।
১৪তম ওভারে ১৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন রোসৌ। ছয় বছর পর এই সিরিজে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর পাওয়া সুযোগটা প্রথম ম্যাচে না পারলেও এবার কাজে লাগান রোসৗ। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান তিনি। ১৮তম ওভার শেষে তার রান ছিলো ৯০।
কিন্তু শেষ দুই ওভারে ৬ বল খেলে মাত্র ৬ রান নিতে পারেন রোসৌ। ফলে ৯৬ রানেই অপরাজিত থাকতে হয় তাকে। ৫৫ বলে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন রোসৗ। তার সাথে শেষদিকে ক্লাসেনের ১০ বলে ১৯ এবং ট্রিস্টান স্টাবসের ১২ বলে ১৫ রানের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২’শ অতিক্রম করে। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৭ রান করে প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের মঈন-গ্লেসন-জর্ডান ১টি করে উইকেট নেন।
২০৮ রানের টার্গেটে ভালো শুরু ছিলো ইংল্যান্ডেরও। ২২ বল খেলে ৩৪ রান যোগ করেছিলেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও অধিনায়ক জশ বাটলার। ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৪ বলে ২৯ রান করে থামেন বাটলার। ২২ বলে ২০ রান করেন রয়। তিন নম্বরে ডেভিড মালান ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
৭৭ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন মঈন ও জনি বেয়ারস্টো। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। কিন্তু এবার আর পারলেন না মঈন-বেয়ারস্টো। মঈন ১৭ বলে ২৮ ও বেয়ারস্টোর ২১ বলে ৩০ রান করেন।
দুই সেরা ব্যাটারের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডকে সামনের দিকে টানতে পারেননি আর কেউই। ফলে ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে ফেলুকুওয়াও-তাবরিজ শামসি ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন রোসৌ।
আগামী ৩১ জুলাই সাউদাম্পটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।