![](https://bangla.thenewstimesbd.com/wordpress/wp-content/uploads/2022/07/image-49351-1657189261.jpg)
সিরিজ হার এড়াতে আজ রাত সাড়ে ১১টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ। জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা না থাকায় ম্যাচে জয় পেতে ব্যাটারদের কাছ থেকে রান চান টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বোলারদের পারফরমেন্স নিয়ে চিন্তা নেই টাইগার অধিনায়কের। ব্যাটাররা মোটামুটি ভালো স্কোর এনে দিলেই, সেটি ডিফেন্ড করার মত বোলার দলে আছে বলে মনে করেন মাহমুদুল্লাহ।
বোলারদের উপর আস্থার কথা জানিয়ে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে সাংবাদিকদের মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের অন্তত এ বিশ^াসটুকু আছে- আমরা ব্যাটাররা নিয়মিত ১৬০ থেকে ১৭০ রান করতে পারলে বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। কারণ, আমাদের বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট ভালো। হয়তো আগের ম্যাচে পেসাররা সেভাবে ভালো করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে সব মিলিয়ে যদি লক্ষ্য করে দেখেন, অনেক ম্যাচেই স্বল্প পুঁজি সত্বেও আমাদের বোলাররা কিন্তু প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়েছে। এখনও আমার বেশ অগাধ বিশ্বাস আছে, বোলিং বিভাগের উপর। তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতেই ব্যাটারদের পারফরমেন্স ছিল যাচ্ছেতা । বৃষ্টি বিঘিœত সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের একাই লড়াইয়ে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে টাইগাররা। যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলাররাও যে ভালো করেছে, তেমনও না। তিন পেসার তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম একত্রে ১১ ওভারে ১২৩ রান দেন।
এ ব্যাপারে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এরকম। অনেক সময় ওপেনাররা সফল হবে, হয়তো ভালো শুরু এনে দেবে। মিডল অর্ডার হয়তো অনেক সময় সেটা নাও টেনে নিয়ে যেতে পারে। তবে কোন একজনের দায়িত্ব নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেমন, আগের ম্যাচে সাকিব একটা ইনিংস খেললো, আমরা ১৬০ এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। তো আমাদের দলে কোন একজনের এমন ব্যাটিং করতে হবে। ১৫, ২০ বা ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে আমরা সব সময় ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ রান করতে পারবো।’
গায়ানায় উইকেট দেখে একাদশ সাজানোর কথা জানালেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে যতবার খেলেছি, এখানে সর্বশেষ যখন আমরা খেলেছিলাম তখনও উইকেট কিছুটা স্টিকি ছিল, কিছুটা গ্রিপ করেছিল। আজকের উইকেট দেখেও মনে হচ্ছে কিছুটা ড্রাই আছে। তবে এটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাল ম্যাচের আগে উইকেট দেখবো কেমন থাকে, উইকেটের চেহারা কেমন থাকে, ওভারকাস্ট কন্ডিশন আছে, ফোরকাস্টের বিষয়গুলো আছে। এসব আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেভাবেই দল সাজাতে হবে।’
প্রথম ম্যাচের মত শেষ টি-টোয়েন্টিতেও বাঁধ সাধতে পারে বৃষ্টি। তাই বৃষ্টির কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করবে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহর মতে, ‘বৃষ্টির বিষয়টা তো আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা আমাদের প্রস্তুতিটা সাধ্যমত নেওয়ার চেষ্টা করবো। আমরা সব সময় পজিটিভলি চিন্তা করব যে, ম্যাচটা পুরোপুরিই হবে। যদি না হয়, আমাদের মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। যদি বৃষ্টি হয়, হয়তো ওভার কমতে পারে, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে আমরা ইতিবাচক থাকবো, পুরো ম্যাচই খেলবো।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচ ৩৫ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।