বাংলাদেশের পা রাখার পর এখানকার কন্ডিশন, আবহাওয়া অনেক বেশি কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেসার বেন সিয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
বাংলাদেশে এর আগেও সফর করেছিলেন সিয়ার্স। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। তার মতে, ঐ সময় এমন কঠিন কন্ডিশনের মুখোমুখি হননি তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ধীর ও নিচু বাউন্স এবং গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া চিন্তার কারণ সিয়ার্সের কাছে।
আজ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিয়ার্স বলেন, ‘এটা সত্যিই ভিন্ন ধরনের। বাড়ির মত নয়। এটা চোখে পড়ার মত। এটিকে ভিন্ন জগতের মতো মনে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি সত্যিই গরম। প্রথমবারের মতো আমি অনুশীলনে এত গরম অনুভব করছি। যখন আপনি অস্বস্তিবোধ করবেন তখন আপনাকে বোলিং করাটা মানিয়ে নিতে হবে। এটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল।’
গতির কারনে ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের উঠতি তরুণ পেসারদের একজন হিসেবে অভিহিত হয়েছেন সিয়ার্সকে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন পেসার ভালো কাজ করবে না। এমনটি ভালোভাবে জেনেও, সাফল্য পেতে অফকাটারে বল করার পরিকল্পনা করছেন সিয়ার্স।
তিনি বলেন, ‘আপনি দ্রুত বোলিং করার চেষ্টা করেন, কিন্তু উইকেট ভিন্ন। আপনাকে এটির সাথে আরও স্মার্ট হতে হবে। নেটে থাকা দ্রুতদের মাঝে মাঝে মনে হয়, দুর্দান্ত হতে পারে। তাই বাছাই করে ওমন বোলিং করা এবং বৈচিত্র্য বজায় রাখা উচিত। অফকাটার বোলিং সহায়ক।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের দলে রাখেনি নিউজিল্যান্ড। তাদের অনুপস্থিতিতে অভিষেকের সুযোগ রয়েছে সিয়ার্সের। অভিষেকের জন্য উচ্ছসিত সিয়ার্স। তবে এটি তার কাছে অদ্ভুত লাগছে।
তিনি বলেন, ‘এটা অসাধারণ হবে। আমি মনে করি এটা অদ্ভুত সফর। আমি সম্ভবত দেশের ১৫তম বোলার, সবাই বাইরে থাকায় আমাকে বেছে নিয়েছে। তবে এখানে আসাটা একটি দুর্দান্ত সুযোগ। এটা খুবই দারুন।’