মরক্কোর কাছে পেনাল্টিতে হেরে বিশ্বকাপের শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছে স্পেন। মঙ্গলবার রাথে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি থেকে এখনো যেন বেরিয়ে আসতে পারছে না স্প্যানিশরা। দলের এই পরাজয়ের সব দায়ভার নিজের ঘাড়ে নিয়েছেন কোচ লুইস এনরিকে।
যদিও পুরো ম্যাচে স্পেনেরই আধিপত্য ছিল। লম্বা সময় ধরে মরক্কোকে শুধুমাত্র নিজেদের ঘর সামলাতেই দেখা গেছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচটি গোলশুন্য ড্র থাকার পর ভাগ্য নির্ধারনের জন্য টাই ব্রেকারের প্রয়োজন হয়। স্পেনের দুটি শট রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। আরেকটি শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। এরপর আচরাফ হাকিমির গোলে আফ্রিকান দলটির জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে এনরিকে বলেন, ‘সব দায়িত্ব আমার। প্রথম তিনটি পেনাল্টি কে মারবে তা আমিই পছন্দ করে দিয়েছিলাম। আমি মনে করেছিলাম এক্ষেত্রে যারা বিশেষজ্ঞ তাদেরই আগে মারতে দেই। আমাদের চতুর্থ খেলোয়াড় শট মারারই সুযোগ পাননি। বোনো সত্যিকার অর্থেই দারুন একজন গোলরক্ষক। প্রতিটি শটেই সে সঠিক দিকেই ডাইভ দিয়েছে।’
এনিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত বিশ^কাপের নক আউট পর্ব থেকে পেনাল্টিতে বিদায় নিল স্পেন। এর আগে রাশিয়া বিশ^কাপে স্বাগতিকদের কাছে একই জায়গা থেকে পেনাল্টিতে বিদায় নিতে হয়েছিল। বার্সেলোনার সাবেক ম্যানেজার এরনিকে বলেন, ‘ফুটবল একটি অসাধারন খেলা, এখানে যেমন উত্তেজনা তাকে তেমনি হতাশাও থাকে। কিন্তু একটি দল আক্রমন ছাড়া জিততে পারেনা। মরক্কো এক বা দুটি আক্রমন করেছে এবং সেগুলো খুবই বিপদজন ছিল। কিন্তু পুরো ম্যাচে আমরা পুরোপুরি আধিপত্য দেখিয়েছি। সুযোগ তৈরী করতে চেষ্টা করেছি।’
এবারের বিশ^কাপে তৃতীয় কনিষ্ট দল নিয়ে খেলতে এসেছিল স্পেন। ১৮ বছর বয়সী গাভি, ২০ বছর বয়সী পেড্রি তাদের বয়সের তুলনায় অনেক বেশী পরিনত ফুটবল উপহার দিয়েছেন। মধ্যমাঠে দুজনই ছিলেন দলের প্রাণ। ২০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আনুস ফাতি ও নিকো উইলিয়ামসও বেঞ্চ থেকে উঠে এসে নিজেদের প্রমান করেছেন।
এনরিকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি দেশে ফিরে গিয়ে পরিবারের সাথে কিছুদিন সময় কাটাবো। সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস সময় দিলে তার সাথে ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হবে।’
২০১০ বিশ^কাপ বিজয়ী স্পেন এনিয়ে টানা পাঁচটি আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলো।