ইউএস ওপেন শেষে অবসরের ঘোষনাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস। আজ ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রিয়ার আজা টমইয়ানোভিচের কাছে পরাজিত হয়ে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষটা দেখেই ফেললেন বিশ্ব টেনিসের অন্যতম সেরা এই টেনিস তারকা।
৪০ বছর বয়সী সেরেনা ৩ ঘন্টা ৫ মিনিটের লড়াইয়ে ৭-৫, ৬-৭ (৪/৭), ৬-১ গেমে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছেন।
২৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক বিভিন্ন সময়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। খেলোয়াড়ী জীবনে পেশাদারীত্ব তো অনেকেই মাঝেই থাকে, কিন্তু খেলার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব গুনে নিজেকে সকলের মধ্যে আলাদ একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাটা সবসময়ই সবাই পেরে ওঠেনা। সেরেনা ছিলেন তেমনই একজন ভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন খেলোয়াড়। তাইতো কাল আর্থার এ্যাশ স্টেডিয়ামে শেষবারের মত নিজের প্রিয় খেলোয়াড়কে বিদায় জানানোর ক্ষনটা কেউই যেন মিস করতে চায়নি। সেরেনা তার ভক্তদের সম্মানের যথাযোগ্য জবাব দিয়েছেন।
ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাতকারে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল-ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাবার কোন ধরনের সম্ভাবনা আছে কিনা, তার উত্তরে সেরেনা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়না, তারপরও বলা যায়না।’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘এই যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। ক্যারিয়ারে এই ধরনের যাত্রার অনুভূতি কখনই আমি পাইনি। যে কয়টি মানুষ আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, ‘সেরেনা এগিয়ে যাও’ তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাদের কারনেই আজ আমি এখানে।’
কাল সেরেনার ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা রিচার্ড উইলিয়াম ও মা ওরাসিন প্রাইস, বড় বোন ভেনাস উইলিয়াম। সেরেনা বলেন, ‘আমার অভিভাকদের হাত ধরে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। তাদের কারনেই আজ আমার এই অর্জন। সত্যিকার অর্থেই আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
একইসাথে বড় বোন ভেনাসের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সেরেনা। তিনি বলেন, ‘ভেনাস যদি এখানে না থাকতো তবে আমি কখনই কোর্টের সেরেনা হয়ে উঠতে পারতাম না। সব কিছুর জন্য অনেক ধন্যবাদ। সেরেনা উইলিয়াম যদি টেনিসে বেঁচে থাকে তবে তার একমাত্র কারন ভেনাস।’
এদিকে কালকের ম্যাচে জয়ী টমইয়ানোভিচ সেরেনার অবসরের ঘোষনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি সত্যিই দারুন কষ্ট পাচ্ছি। কারন অন্য সকলের মতই আমিও সেরেনাকে অনেক ভালবাসি। টেনিসে সে আমার জন্য যা সহযোগিতা করেছে তা সত্যিই অনন্য। আমি কখনই চিন্তা করিনি তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটির প্রতিপক্ষ আমি হবো। তার সবগুলো ফাইনাল ম্যাচের কথা এখন আমার মনে পড়ছে।’