দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জিতেছে ইংল্যান্ড। ৩৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রবিবার ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফলে ১৫ বছর পর কিউইদের মাটিতে ২৬৭ রানের বড় জয় পায় ইংলিশরা। অবশ্য বড় রান তাড়া করতে নেমে স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস অ্যান্ডারসনদের তোপে আগে দিনই খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ দিনটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন টেস্টে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী অ্যান্ডারসন। আরেক অভিজ্ঞ পেসার ব্রড ৪৯ রানে পান ৪ উইকেট।
৫ উইকেটে ৬৩ রানে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দিনের শুরুতেই জ্যাক লিচে ধরাশায়ী হন কিউই ব্যাটার মিচেল ব্রেসওয়েল। ২৫ রান করা এই ব্যাটার বাঁহাতি স্পিনের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন। খানিক পর স্কট কুগলেইন আর টিম সাউদিকে তুলে নেন অ্যান্ডারসন। নেইল ওয়েগনার ও ব্লেয়ার টিকনার শেষ দিকে সামান্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদেরও ছেঁটে ইনিংস মুড়ে দেন ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সফলতম পেসার।
এই টেস্টে মূলত তৃতীয় দিনেই হারের জায়গায় চলে এসেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে আগ্রাসী মেজাজে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের পর ৩০৬ পর্যন্ত করেছিল তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বদলে যায় হিসাব। হ্যারি ব্রুকরা আবারও ইতিবাচক মানসিকতায় খেলে দলকে নেন এগিয়ে। ৩৭৪ রান তুলে কিউইদের ঘাড়ে বিশাল লক্ষ্য তাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় ইংল্যান্ড।
জবাব দিতে গিয়ে শুরুতেই ব্রডের তোপে পড়ে তারা। ২৮ রানেই পড়ে যায় ৫ উইকেট। এরপর ধুঁকতে ধুঁকতে হার ছাড়া যেন কোন পথ খোলা ছিল না তাদের। এই বড় হারে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল টিম সাউদির দল।
প্রথম ইনিংসে ৮১ বলে ৮৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ বলে ৫৪ রানের আগ্রাসী ব্যাট করে ম্যাচ সেরা তকমা পেয়েছেন হ্যারি ব্রুক। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড। আর কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের অধীনে খেলা ১১ টেস্টের ১০টিতেই জিতল ইংল্যান্ড।