You are here
Home > খেলাধুলা > দেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেল ফরাসি ফুটবল দল

দেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেল ফরাসি ফুটবল দল

লে প্যারিসিয়ান পত্রিকার প্রথম পাতায় টাইব্রেকারের সময় একসঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা দলের ছবিসহ শিরোনাম করেছে, ব্লুজদের জন্য আমরা গর্বিত।’ সম্পাদকীয়তে ডানপন্থী পত্রিকা লে ফিগারো বলেছে, ফুটবল কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করার পরও ফ্রান্স ফুটবল দলকে স্বাগত জানাতে সোমবার সেন্ট্রাল প্যারিসের একটি স্কয়ারে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক ফুটবল অনুরাগী।

কাতার থেকে খেলোয়াড়দের বহন করা বিমানটি অবতরণের পর বিমানবন্দর থেকে তাদেরকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় সেন্ট্রাল প্যারিসের প্লেস দে লা কনকর্ডে। বিপুল সংখ্যক ভক্তের উপস্থিতিতে আগে থেকেই স্থানটি ভরে যায়।

বার্তা সংস্থা এএফপির সংবাদদাতা জানান, ক্রিলন হোটেলের ব্যালকনি থেকে খেলোয়াড়রা উৎসুক সমর্থকদের অবিবাদন জানায়। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরও ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ ফ্রান্সের দলের  সবাই ভক্তদের করতালির মধ্যে রাজকীয় স্ট্রাইলে ব্যালকনিতে হাজির হন।

দলের ফরোয়ার্ড মার্কাস থুরাম টিএফওয়ান টিভিকে বলেন,‘ সত্যিকার অর্থে এটি দুর্দান্ত, এটি হৃদয়কে উষ্ণ করেছে, এটা দেখে আনন্দ লাগছে যে আমরা বিপুল সংখ্যক ফরাসিকে গর্বিত ও খুশি করতে পেরেছি। দোহা থেকে ফেরার পর আমরা তাদের (ভক্তদের) দেখতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি মনে করি দেশে এসে তাদের অসাধারণ সমর্থনের জন্য অন্তত ধন্যবাদটুকু দিতে পারব।’

অধিনায়ক ও গোল রক্ষক হুগো লোরিস টিএফওয়ানকে বলেন, ভক্তদের অভিবাদন জানানোর এটিই একটি সুযোগ। আমাদের সমর্থনের জন্য এবং ফাইনালের  কষ্ট ভুলিয়ে দেয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

এদিকে হতাশ খেলোয়াড়রা সেন্ট্রাল প্যারিসে আসবেন কিনা সেটি অনুমান করেই দিনের বেশীরভাগ সময় পার করেছেন ফরাসি ভক্তরা। এর আগে সোমবার সকালে ক্রীড়া মন্ত্রী অ্যামেলি ওউদিয়া -কাস্তেরা বলেন, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় চার্লস-ডি- গল বিমান বন্দরে অবতরণের পর খেলোয়াড়দের ফরাসি রাজধানী প্যারিসের প্লেস দে লা কনকর্ডে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তবে এর এক ঘন্টার মধ্যেই এর বিপরীত মন্তব্য করে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি বলেন, বিমান বন্দর থেকে সরাসরি নিজ নিজ বাড়ীতে চলে যাবেন ফুটবলাররা। পরে অবশ্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে খেলোয়াড়রা সেখানে যাবেন।

রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারনে টাই ব্রেকারের প্রয়োজন হয়। সেখানে লিওনেল মেসির দলের কাছে হেরে যায় ফ্রান্স। 

ফ্রান্সের জনপ্রিয় সংবাদ পত্র এল ইকুইপ স্পোর্টসে বলা হয়,‘লিওনেল মেসির রাজ্যাভিষেকের জন্য আমন্ত্রিত, তবে বীরত্বপুর্ন ছিল লেস ব্লুজরা।’

কিলিয়ান এমবাপ্পের আকষ্মিক জোড়া গোলের মাধ্যমে নাটকীয় ভাবে ফ্রান্সকে লড়াইয়ে ফেরার আগে প্রথম ৮০ মিনিট আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে আর্জেন্টিনা। ফলে ম্যাচের এমন নাটকীতার প্রশংসায় প্রায়শই খেলাধুলার চেয়ে বেশী কিছু। বড় দিনের  আগে এই বিশ্বকাপ দুর্দান্ত একটি উপহার।

Similar Articles

Leave a Reply

Top