You are here
Home > খেলাধুলা > চেলসি-লিভারপুলের ড্রয়ে সুবিধা হলো সিটির

চেলসি-লিভারপুলের ড্রয়ে সুবিধা হলো সিটির

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও লিভারপুলের কাছ থেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। 
এই ড্রয়ে অবশ্য সবচেয়ে বেশী সুবিধা হয়েছে টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা চেলসি ও লিভারপুলের তুলনায় সিটি যথাক্রমে ১০ ও ১১ পয়েন্ট এগিয়ে সুস্পষ্ট ব্যবধানেই শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে। এই ম্যাচে জয়ী হয়ে উভয় দলের সামনেই সুযোগ ছিল সিটির সাথে ব্যবধান কমানোর। 
লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপসহ আরো তিন মূল খেলোয়াড় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার কারনে কাল দলের সাথে ছিলেন না। কিন্তু তারপরেও রেডরাই শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নিয়েছিল। সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহর দুই গোলে ২৬ মিনিটেই ২-০ গোলের লিড নেয় লিভারপুল। এই দুজনেই আফ্রিকান নেশন্স কাপে নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার আগে কাল প্রিমিয়ার লিগে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। 
চেলসি বস থমাস টাচেল কাল গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে সামনে রেখে দলের রেকর্ড চুক্তিভূক্ত তারকা খেলোয়াড় রোমেলু লুকাকুকে বাদ দেবার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টাচেলের অধীনে মূল একাদশে খুব একটা সুযোগ না পাওয়া এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করায়  ক্ষুব্ধ কোচ তাকে দলে নেননি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদিও লুকাকুকে ছাড়াও যে পয়েন্ট আদায় করা যায় তা ভালভবেই কাল প্রমান করেছে সতীর্থরা। মাতেও কোভাচিচের অসাধারণ স্ট্রাইকের পর ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের গোলে প্রথমার্ধেই সমতা ফিরিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। 
শিরোপা প্রত্যাশী চেলসি গত পাঁচ লিগ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে লিভারপুল তাদের শেষ তিনটি ম্যাচ থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট আদায় করেছে। এসবই গত পাঁচ মৌসুমে সিটিকে চতুর্থ শিরোপা জয়ের পথ অনেকটাই সুগম করে দিয়েছে। 
স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে এবার ষষ্ঠ ম্যাচে পঞ্চমবারের মত পয়েন্ট হারানোর পর টাচেল বলেন, ‘ঘরের মাঠে এবার আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের আজকের ম্যাচটিতে জেতা উচিৎ ছিল। আজ থেকে কালকের জন্য আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এভাবে খেলতে থাকলে তা কার্যত প্রতিপক্ষ দলগুলোকে এগিয়ে দিবে।’
ম্যাচ শুরুর মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে চেলসি ডিফেন্ডার সিজার আজপিলিকুয়েটাকে কনুই দিয়ে আঘাত করার পরেও শুধুমাত্র হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল মানেকে। এই ঘটনায় কার্যত রক্ষা পায় লিভারপুল। টাচেল অবশ্য ঘটনাটিতে লাল কার্ড না দেখানোয় ম্যাচ শেষে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। করোনায় আক্রান্ত হবার কারনে কাল লিভারপুলে ছিলেন না গোলরক্ষক এ্যালিসনসহ জোয়েল মাটিপ ও রবার্তো ফিরমিনো। তবে এ্যালিসনের পরিবর্তে মাঠে নামা আয়ারল্যান্ডের ২৩ বছর বয়সী গোলরক্ষক কায়োমিহি কেলেহার নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। শুরুতেই পুলিসিচের একটি একক প্রচেষ্টা কেলেহার নষ্ট করে দেন। ৯ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার ট্রেভো কালোবাহর ভুলে সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড মানে জাতীয় দলের সতীর্থ এডুয়ার্ডো মেন্ডিকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। গত ১০ ম্যাচে এটি মানের প্রথম গোল। 
ইংল্যান্ডে বেশ কিছুদিন ধরে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করা হলেও কাল স্ট্যামফোর্ড ব্রীজ দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। ২৬ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি স্ট্যামফোর্ডের স্বাগতিক সমর্থকদের অনেকটাই নিশ্চুপ করে দিয়েছিলেন। ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের পাস থেকে মার্কোস আলোনসোকে কাটিয়ে মৌসুমের ২৩তম গোল করেন এই মিশরীয় তারকা। লিভারপুলের গ্রীক ডিফেন্ডার কোসটাস টিসিমিকাসকে লাথি মারার অপরাধে ভিএআর রিভিউ দেখার পরেও ম্যাসন মাউন্ট শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পান। এরপরপরই মাত্র চার মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা দারুনভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। ৪২ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান কোভাচিচের ভলি আটকানোর সাধ্য ছিলনা কেলেহারের। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে পুলিসিচ কেলেহারের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে সমতা ফেরান।
প্রথমার্ধের এই গতি দ্বিতীয়ার্ধে কোন দলের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়নি। দিয়োগো জোতা, সালাহ ও মেন্ডিকে সফল হতে দেননি মেন্ডি। অন্যদিকে পুলিসিচের শক্তিশালী একটি শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন কেলেহার। 

Similar Articles

Leave a Reply

Top