ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের কারনে রাশিয়ান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচেকর সম্পত্তি জব্দ করার ঘোষনা আগেই দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এবার চেলসির এই রুশ মালিককে শাস্তি দিল প্রিমিয়ার লিগ বোর্ড। এখন থেকে আব্রমোভিচ আর চেলসির পরিচালকের দায়িত্বে থাকছেন না।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে থাকা নিজের সকল সম্পদের ওপর অধিকার হারিয়েছেন আব্রামোভিচ। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা শুরুর কিছুদিনের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার। এর জেরে যুক্তরাজ্যে থাকা তার সব সম্পদ জব্দ করা হয়। ফলে চেলসির মালিকানা ছাড়তে হচ্ছে তাকে। এবার গেল ক্লাবটির পরিচালক পদও। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্রামোভিচ। চেলসির পরিচালকের পদ হারানোর ফলে আব্রামোভিচের ক্লাবটিকে বেঁচে দেওয়ার পথ কঠিন হয়ে গেল। তবে প্রিমিয়ার লিগ বলছে, আব্রামোভিচ পদ হারানোর প্রভাব ক্লাবটির অনুশীলন ও খেলার ওপর পড়বে না। কিন্তু ক্লাবের বোর্ড থেকে মূল মালিককে এভাবে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কারণ দেখছেন অনেকে। ধারণা করা হচ্ছে, তার মালিকানায় থাকা চেলসির শেয়ার বিক্রির জন্য চাপ প্রয়োগের উদ্দেশ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিগ কর্তৃপক্ষ।
আব্রামোভিচের এই শাস্তির কারনে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন চেলসির উপরও নেমে আসতে পারে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞ। এমনও হতে পারে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় চেলসি কোন নতুন খেলোয়াড় চুক্তি, নবায়ন কিংবা ম্যাচের টিকিট বিক্রি করতে পারবেনা। এর ফলে এ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে বিশাল বহরের ভ্রমনজনিত যে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হতো তাও হয়ত সীমিত হয়ে আসতে পারে। এদিকে গত ২ মার্চ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা শুরু হতেই চেলসির মালিকানা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আব্রামোভিচ। এরপর আমেরিকার এক বিনিয়োগ ফার্মকে চেলসি বিক্রির দায়িত্ব দেন। তাদের পক্ষ থেকে শুরুতে চেলসির জন্য ৩ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্য হাঁকানো হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এত দামে বেচা সম্ভব নয় বলেই ধারণা করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যেই চেলসির জার্সির পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান মোবাইল কোম্পনী থ্রি ব্লুজও তাদের চুক্তি বাতিল করেছে।