You are here
Home > খেলাধুলা > ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো চেলসি

ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো চেলসি

অতিরিক্ত সময়ে কেই হাভার্টজের পেনাল্টিতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মত ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে চেলসি। এর মাধ্যমে সবকটি বড় শিরোপা স্পর্শ পাওয়ার  সৌভাগ্য হলো চেলসির ।

আবু ধাবির মোহাম্মদ বিন জায়াদ স্টেডিয়ামে ৫৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর দুর্দান্ত হেডে এগিয়ে গিয়েছিল ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ৬৪ মিনিটে রাফায়েল ভেইগার স্পট কিকে কোপা লিবারেটেডর্স বিজয়ীরা সমতায় ফিরে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের নায়ক ২২ বছর বয়সী জার্মান মিডফিল্ডার কেই হাভার্টজ আবারো চেলসি ম্যাচ জয়ী তারকায় পরিনত হয়। ১১৭ মিনিটে ভিএআর রিভিউর মাধ্যমে প্রাপ্ত পেনালিন্ট থেকে হাভার্টজ কোন ভুল করেননি।

ম্যাচ শেষে চ্যানেল ফোরকে হাভার্টজ বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারন এক মুহূর্ত। ইউরোপে চ্যাম্পিয়ন হবার পর এবার আমরা বিশ্ব আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। বিষয়টা দুর্দান্ত। সত্যি বলতে কি পেনাল্টি নিতে গিয়ে আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। কারন ঐ মুহূর্তটি পুরো দলের জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ী হতে সহযোগিতা করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এই ধরনের একটি মুহূর্তের জন্য ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছি। এটা আমার জন্য সত্যিই বিশেষ এক অনুভূতি।’

২০০৩ সালে রোমান আব্রাহিমোভিচ লন্ডনের জায়ান্টদের কিনে নেবার পর থেকে এনিয়ে চেলসি সম্ভাব্য সব শিরোপাই ঘরে তুললো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও লিভারপুলের পর তৃতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের গর্বিত মালিক এখন চেলসি। এর আগে ২০১২ সালের ফাইনালে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল চেলসি। কালকের ম্যাচটা তাই অনেকটাই প্রতিশোধের মিশনও বলা যেতে পারে।

যদিও শিরোপা জয়ের এই আনন্দ খুব বেশী উদযাপন করতে পারছে না থমাস টাচেলের দল। দেশে ফিরে গিয়েই আগামী ১২ দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাদের মাঠে নামতে হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লিলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬‘র উভয় লেগের ম্যাচ, লিভারপুলের বিপক্ষে লিগ কাপের ফাইনাল ও এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ড।

কোভিড পজিটিভ হওয়ায় দুই ম্যাচ বাইরে থাকার পর কাল আবু ধাবীর ডাগ আউটে ফিরেছিলেন কোচ থমাস টাচেল। আফ্রিকান নেশন্স কাপে সেনেগালের হয়ে শিরোপা জয়ী দলের গোলরক্ষক এডুয়ার্ডো মেন্ডিও মূল একাদশে ফিরেছিলেন। যদিও তার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা দারুনভাবে নিজেকে প্রমান করেছেন। ম্যাচের শুরুতেই পালমেইরাস গোলরক্ষককে বিপদে ফেলেছিল চেলসি। কিন্তু সেযাত্রা রক্ষা পায় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। থিয়াগো সিলভার একটি প্রচেষ্টা অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিপরীতে ডুডু ও আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেনের দুটি শট রুখে দিয়ে মেন্ডি চেলসিকে রক্ষা করেছেন।

ইন্টার মিলান থেকে রেকর্ড চুক্তিতে চেলসিতে যোগ দেবার পর লুকাকু নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। যদিও ক্লাব বিশ্বকাপে দুই ম্যাচের দুটিতেই গোল পেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। কালুম হাডসন-ওডুইয়ের লেফট উইং থেকে ক্রসে লুকাকু দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে শক্তিশালী হেডে উইভারটনকে পরাস্ত করলে ৫৪ মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। ইনজুরিতে পড়া ম্যাসন মাউন্টের স্থানে ৩০ মিনিটে মাঠে নামেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। ৬৪ মিনিটে সিলভার হ্যান্ডবলে পেনাল্টি উপহার পায় পালমেইরাস। অস্ট্রেলিয়ান রেফারি ক্রিস বিথ ভিএআর’র সহায়তায় এই পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আল আহলির বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে প্রথম গোল করা ভেইগা স্পট কিক থেকে কোন ভুল করেননি। নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়া ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারনে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়। ১১৭ মিনিটে সিচার আজপিলিকুয়েটার ভলি পালমেইরাস ডিফেন্ডার লুয়ানের হাতে লাগলে পেনাল্টি উপহার পায় চেলসি। স্পট কিক থেকে হাভার্টজ উইভারটনকে উল্টো দিকে পাঠিয়ে প্রথমবারের মত ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা নিশ্চিত করে চেলসি। ১২০ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে মাঠত্যাগে বাধ্য হন লুয়ান।

Similar Articles

Leave a Reply

Top