টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সেচ্ছায় সরে দাঁড়ান ভারতের বিরাট কোহলি। তবে এরপর কোহলির ওয়ানডে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দায়িত্বে কোহলি না থাকায় খুশী ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী।
তিনি জানান, সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব চলে যাওয়ায় বিরাটের জন্যই ভাল হয়েছে। এতে আরও ভাল করে নিজের ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে পারবেন কোহলি।
ওয়ানডে থেকে কোহলির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়ায় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ক্ষুব্ধই হয়েছিলেন।
তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোহলি দায়িত্বে না থাকায় খুশী শাস্ত্রী। দীর্ঘদিন কোহলির সাথে কাজ করা কোচ শাস্ত্রী বলেন, ‘এতে ভালই হবে। এটা কোহলি ও রোহিতের পক্ষে শাপে বর হয়েছে। কারণ, এক জনের পক্ষে তিন ধরনের ক্রিকেটে মন দেওয়া কঠিন ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষাবিধি মেনে তাকে পুরো বছরের বেশির ভাগ সময়েই জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোহলি লাল বলের ক্রিকেট খেলায় মনোনিবেশ করুক। যত দিন সম্ভব টেস্ট ক্রিকেটে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক। আগামী ৫-৬ বছর কোহলির কাছ থেকে ভাল পারফরমেন্স পাওয়া যাবে আশা করি। টেস্ট দল নিয়ে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে মন দিতে পারবে সে।’
অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিসিআইর সাথে ঠান্ডা লড়াইও হয়েছে কোহলির। বিসিসিআই সভাপতি বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছিলো কোহলিকে। কিন্তু কোহলি জানান, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড তার সাথে কোন কথা বলেনি।
এ ব্যাপারে শাস্ত্রী বলেন, ‘কোহলি তার বক্তব্য জানিয়েছে। এবার বিসিসিআই সভাপতি তার বক্তব্য জানিয়ে দিক। দু’পক্ষের বক্তব্য জানা গেলে এই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে।’
কোহলি ও বোর্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির ইস্যুতেও কথা বলেছেন শাস্ত্রী। টেস্ট ক্রিকেট থেকে ধোনির অবসর নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, ‘বহু দিন ধরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন ধোনি। তিন ফরম্যাটে খেলার ধকল নিতে পারছিলেন না। তার শরীর তিনটি ফরম্যাটে খেলার অবস্থায় ছিলো না। সাদা বলের ক্রিকেট দীর্ঘদিন খেলার জন্যই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ধোনি।’
ধোনির অবসরে দলের সকলেই হতাশ হয়েছিলেন বলে জানান শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ধোনি আমার কাছে এসে জানায়,ছেলেদের কিছু বলার আছে। আমি ভেবেছিলাম ম্যাচের ব্যাপারে হয়তো কিছু বলবে। কিন্তু সে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসার পর ক্রিকেটারদের চোখ-মুখ ছোট হয়ে গিয়েছিল।’