You are here
Home > খেলাধুলা > কিউইদের হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

কিউইদের হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান

নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। কিউইদের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবর আজমরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

সেমি-ফাইনালের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাবর আজমদের ফিল্ডিংয়ে পাঠায় কিউইরা। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন ব্যাট হাতে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি ওপেনার ফিন এ্যালেন। ফিরেছেন মোটে ৪ রান করে, ইনিংসের প্রথম ওভারে পেসার শাহীন আফ্রিদির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার।

এরপরে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন কেইন উইলিয়ামসন এবং ডেভন কনওয়ে। এই জুটি থেকে আসে ৩৪ রান। পাওয়ার-প্লের শেষ বলে ব্যক্তিগত ২১ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন কনওয়ে, দলের রান তখন ৩৮। অন্য প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাওয়া উইলিয়ামসন ফেরেন ৪২ বলে ৪৬ রান করে। ঝোড়ো ব্যাটিং করে দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করান ড্যারেল মিচেল। অপরাজিত থেকে ৩৫ বলে খেলেন ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন বাবর-রিজওয়ান জুটি। ব্যাট হাতে দুই ওপেনারই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। এই দুইজনের ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৫৫ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান।

দল যখন নিশ্চিত জয়ের পথে তখন বিদায় নেন রিজওয়ান। ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। বাবর দুজনকেই সাজঘরে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর মোহাম্মদ হারিস বাকি দায়িত্বটা সামলে জয়ের জন্য যখন ৭ বলে ২ রান প্রয়োজন তখন স্যান্টনারের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২৬ বলে ২ চার ও এ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ৭ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পা রাখে পাকিস্তান। কিউইদের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট ৩৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন। ২৬ রান খরচায় একটি উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন মিচেল স্যান্টনার।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানে তিনি নেন ২টি উইকেট।

Similar Articles

Leave a Reply

Top