গতরাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাাকিস্তান।
একই সাথে টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লো পাকিস্তান। এ বছর টি-টোয়েন্টিতে ১৮টি ম্যাচ জিতেছে। ভেঙ্গেছে নিজেদেরই রেকর্ড। ২০১৮ সালে ১৭টি ম্যাচ জিতেছিলো পাকিস্তান।
একই সাথে আরও এক রেকর্ডে বাংলাদেশের পাশে নাম লেখারেঅ পাকিস্তান। এ বছর বাংলাদেশের সমান সবচেয়ে বেশি ২৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের বাকী দু’ম্যাচ খেললেই, এ বছর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নয়া রেকর্ড গড়বে পাকিস্তান।
ম্যাচের আগের দিন তিন খেলোয়াড়ের করোনা আক্রান্তের ধাক্কা নিয়ে করাচিতে খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ক্যারিবীয়রা। ইনিংসের চতুর্থ বলেই রানের খাতা খোলার আগেই অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। এরপর তিন নম্বরে ফখর জামান ১০ রানে আউট হন।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলি। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান। রিজওয়ান ৫২ বলে ১০টি চারে ৭৮ এবং হায়দার আলি ৩৯ বলে ৬৮ রান করেন। ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা সারেন হায়দার। আর শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ১০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রানে বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০০ রান করে পাকিস্তান।
২০১ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের বোলারদের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন ক্যারিবীয়রা ব্যাটাররা।
দুই বোলার মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শাদাব খানের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে যা বিশ^রেকর্ড এই নিয়ে ৩৫তম বারের মত প্রতিপক্ষকে অলআউট করলো পাকিস্তান।
দলের পক্ষে ওপেনার শাই হোপ ৩১ ও ওডিন স্মিথ ২৪ রান করেন। পাকিস্তানের পেসার ওয়াসিম ৪টি ও স্পিনার শাদাব ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন হায়দার।
আজই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।