নিউজিল্যান্ডে চলমান ওয়ানডেতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে জয় ছাড়া কোন বিকল্প পথ খোলা নেই বাংলাদেশ নারী দলের। ষষ্ঠ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। অসিদের কাছে হেরে গেলেই নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপ মিশন লিগ পর্ব থেকেই শেষ করতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ২৫ মার্চ ওয়েলিংটনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি। ৬ ম্যাচে সবগুলোতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। একরকম সেমি নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকারও। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট তাদের। সেমি দৌঁড়ে আছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ বাদে অন্যান্য দলগুলো সেমির দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছে। ৬ খেলায় ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ করে পয়েন্ট, ৫ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৪, ৬ খেলায় নিউজিল্যান্ডের ৪। আর ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলে লিগ পর্ব পেরিয়ে পরের ধাপে যাবার পথ শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের। আর অস্ট্রেলিয়াকে হারালেও নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে তো হারাতেই হবে, সেই সাথে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের হারের কামনা করতে হবে বাংলাদেশকে। এবারই প্রথম ওয়ানডে ফরম্যাটে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একবার টি-টোয়েন্টিতে দেখা হয়েছিলো দল দু’টির। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ক্যানবেরার ঐ ম্যাচে অসিদের কাছে ৮৬ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। এবারের আসরের বাংলাদেশের একমাত্র জয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়েছিলো তারা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩২ রানে, নিউজিল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪ রানে এবং ভারতের কাছে ১১০ রানে ব্যবধানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হারের জন্য ব্যাটারদের দুষেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ভারতকে ২২৯ রানে আটকে দেয়ার পর ১১৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে নিগার বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারতের মতো দলকে মোটামুটি স্কোরে আটকে রেখে আমাদের বোলাররা চমৎকার কাজ করেছিলো। টপ অর্ডার ভালো না করলে, রান তাড়া করা কঠিন হয়ে যায়। টপ অর্ডার ব্যর্থতার জন্য আমাদের হারতে হয়েছে।’