এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে আগে শ্রীলংকার সাথে বাকুযুদ্ধে জড়িয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচ হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
গতরাতে দুবাইতে গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ২ উইকেট হার মানে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এক জয় পেয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে যায় শ্রীলংকা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলেছিলেন, সাকিব ও মুস্তাফিজ ছাড়া বাংলাদেশ দলে বিশ্বমানের আর কোন বোলার নেই।
শানাকার ঐ মন্তব্যের পর মুখ খুলেন বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার দলে আমি কোন বিশ্বমানের বোলার দেখিনি। আমাদের তো তাও দু’জন আছে।’
বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দলের ভেতরকার বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেও। ট্ইুটারে তিনি লিখেন, ‘মনে হচ্ছে (আমাদের) বোলারদের নিজেদের ক্লাস দেখানোর সময় হয়েছে এবং ব্যাটারদেরও মাঠে জ্বলে উঠতে হবে।’
মাঠের বাইরের বাকযুদ্ধ ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন না সাকিব। তবে তিনি জানান, আবেগী না হয়ে, মাথা দিয়ে খেলার আহ্বান সাকিবের।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সাকিব বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। এটিই আরও একটি ক্ষেত্র যেখানে আমাদের উন্নতির দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আবেগকে পাশে রেখে এবং আমাদের যেভাবে খেলা দরকার, সেভাবে খেলতে হবে। হৃদয়ের চেয়ে ম্যাচে আমাদের মস্তিস্ক দিয়ে বেশি খেলতে হবে।’
তবে শানাকার মন্তব্য ভুল ব্যাখা করা হয়েছে বলে জানান ভানুকা রাজাপাকসে। সাংবাদিকদের রাজাপাকসে বলেন, ‘অধিনায়ক কোন ভুল বলেছেন আমি মনে করিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি যখন আফগানিস্তানের বোলারদের সাথে তুলনা করবেন, তখন আমরা বলেছি, বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে খেলার সময় আমরা কিছুটা সুবিধা পেয়েছি।’
রাজপাকাসে আরও জানান, ‘ভারত-পাকিস্তানের মতো, শ্রীলংকা-বাংলাদেশও একটি ভাল প্রতিন্দ্বন্দি দল, তবে আমরা মাঠের বাইরে বন্ধু।’