You are here
Home > আইন-আদালত > ৩০ বছর পর সব সুবিধা ফিরে পেলেন সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা

৩০ বছর পর সব সুবিধা ফিরে পেলেন সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা

দীর্ঘ ৩০ বছরের আইনি লড়াই শেষে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) সাবেক কর্মকর্তা বখতিয়ার আহমেদ খানের বেতন ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে বখতিয়ার আহমেদ খানের পক্ষে ছিলে সিনিয়র ব্যারিস্টার আখতার ইমাম।সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম আপিল ও ছেলে ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

রায়ের পর বখতিয়ার আহমেদ খান বলেন, ‌‘সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি প্রতি আমার অবিচল আস্থা ছিল। ৩০ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আজ আমার পক্ষে চূড়ান্ত রায় এলো। আমার চাকরি আর পাব না। তবে প্রাপ্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাব। সেই সঙ্গে আজকের রায়ের মাধ্যমে আমার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মর্যাদা পুনরুদ্ধার হবে।’

বিএনপি সরকারের সময় চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন লে. বখতিয়ার আহমেদ খান। তবে তিন দশক পরে হলেও আত্মসম্মান ও মর্যাদা ফিরে পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মামলাটি অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আমার দৃঢ় আশা ছিল আমি এই মামলায় জয় পাব।’

তার আইনজীবী রাশনা ইমাম জানান, প্রাপ্য অধিকার ফিরে পেতে এতটা সময় অপেক্ষা করা দুঃখজনক। বখতিয়ার আহমেদের যেহেতু অবসরের সময় পার হয়ে গেছে, তাই চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে অবসরের সময়ের আগ পর্যন্ত না পাওয়া সব সুযোগ-সুবিধা তিনি ফিরে পাবেন।’

বখতিয়ার আহমেদ খান ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা এর কারিগরী শাখায় উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি চাকরিচ্যুত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইবুন্যাল মামলা করলে আদালত চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন এবং চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে সরকার আপিল করলে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুন্যাল প্রশাসনিক ট্রাইবুন্যালের আদেশই বহাল রাখেন। এর ৮ বছর পর সরকার প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুন্যালের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন।

তবে ২০২০ সালে টাইম বারের যুক্তিতে লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে খারিজ আদেশটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

Similar Articles

Leave a Reply

Top